ফেসবুক থেকে আয় করবেন কী ভাবে?
ফেসবুক থেকে আয় করার অনেক উপায় আছে । ফেসবুক থেকে আয় কিছুটা প্রত্যক্ষ, কিছুটা পরোক্ষ। অর্থাৎ, ফেসবুক কে ব্যবহার করে নিজের ব্যবসার সরাসরি বিজ্ঞাপন বা ফেসবুক মার্কেটিং অথবা অনলাইন বিজনেস করে ফেসবুক থেকে আয় করতে পারেন । এছাড়া ফেসবুক থেকে খুঁজে নিতে পারেন আপনার চাকরিও। এছাড়া পরোক্ষ ভাবে নিজের ব্যবসায় কাস্টমার নিয়ে আসা অথবা অন্যের ব্যবসার বিজ্ঞাপন চালিয়ে ফেসবুক থেকে আয়ের সুযোগও রয়েছে।
আজকের পোস্টে ফেসবুক থেকে আয় নিয়ে সবিস্তার আলোচনা করবো।
আগেই বলেছিলাম ফেসবুক থেকে আয় করার দুইটা মাধ্যম আছে একটা প্রত্যক্ষ ভাবে ফেসবুক থেকে আয় আরেকটা পরোক্ষ ভাবে ফেসবুক থেকে আয় । প্রথমে আলোচনা করবো ফেসবুক থেকে আয় করার প্রত্যক্ষ উপায়ঃ
ফেসবুক পেজঃ
ফেসবুক থেকে আয় করার প্রথম উপায় হুছে ফেসবুক পেজ । যেমন ধরুন আপনার একটা ছোট ব্যবসা রয়েছে। ফেসবুকে তার পেজ বানিয়ে আপনার ব্যবসা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য তাতে দিয়ে রাখুন- স্টোর বা অফিসের ঠিকানা, কতক্ষন আপনার সেবা খোলা, কী সেবা বা পণ্য মিলবে আপনার পেজে, আপনার যোগাযোগের নম্বর বা ইমেল, সব কিছু দিয়ে দিবেন এই ফেসবুক পেজে। ফলে ফেসবুকে যারা আপনার পেজটি দেখবেন, তাঁরা আপনার ব্যবসা সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে উঠতে পারেন এবং আপনার থেকে সেবা নিতে পারেন।
আপনার ফেসবুক পেজের জন্য সুন্দর একটা লোগো তৈরি করতে হবে। এবার আপনার সকল বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানান আপনার পেজে লাইক দিতে । যত বেশী লাইক হবে তত বেশী কাস্টমারের সন্তুষ্টি পাবেন বিশ্বাস পাবেন। তবে এই লাইক দুই ভাবে বাড়ানো যায়। একটা হলো অর্গানিক আরেকটা হলো পেইড। ফেসবুক থেকে আয় করতে চাইলে আপনাকে প্রথমে ফেসবুকে টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। এজন্য আপনাকে পেইড লাইক নিতে হবে। প্রতি ১ ডলার খরচ করলে আপনি ৫০-৭০ টি লাইক পাবেন। ৫-১০ হাজার লাইক নিয়ে নিতে হবে। এর পর শুরু করতে হবে আপানর পণ্যের শেয়ার। প্রতিদিন আপনার পণ্য শেয়ার করতে থাকেন। যত বেশী শেয়ার করবেন তত বেশী একটিভ থাকবে আপানর পেজ।
ফেসবুক মেসেঞ্জার
ফেসবুক থেকে আয় করার আরেকটি মাধ্যম হলো ফেসবুক মেসেঞ্জার । আপনি আপনার ফেসবুক পেজের স্বয়ংক্রিয় মেসেঞ্জার এর সাহায্যেও আপনার প্রোডাক্ট বা পরিষেবা মার্কেটিং বা সেল করতে পারেন I কিছু বট সার্ভিস আছে যারা আপানর সাবস্ক্রাইবারদের অটো মেসেজ সেন্ড করবে। এসব সার্ভিস আপনি ফ্রি বা টাকা দিয়ে নিতে পারবেন। ইদানীং ব্যবসায় ক্রেতা টানার জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে চ্যাটবট। মেসেঞ্জারের মাধ্যমে এই স্বয়ংক্রিয় চ্যাট পেজে আসা মানুষকে আপনার ব্যবসা সম্পর্কে তথ্য দেবে। জবাব দেবে তাদের প্রশ্নেরও। ফলে আপনি পেয়ে যেতেই পারেন নতুন ক্রেতা। অনেকে ফেক একাউন্ট খুলে এসব সার্ভিস দিয়ে থাকেন। ধরুন আপনার একাউন্টে ৫০০০ ফ্রেন্ড। আপনি তাদের কে অ্যাড করলে আপনার ৫০০০ ক্রেতা হয়ে গেলো। এবার প্রতিদিন তাদের মেসেজ করতে থাকুন।
ফেসবুক গ্রুপঃ
ফেসবুক থেকে আয় করার সেরা উপায়গুলোর একটা নিঃসন্দেহে ফেসবুক গ্রুপ থেকে আয়। আপনি একটা গ্রুপ খুলে সেখানে ইচ্ছা মত সদস্য যুক্ত করতে থাকুন। অনেক গ্রুপ আছে যেখানে ১-৫ লক্ষ সদস্য আছে। আপনি কয়েকটা ফেক একাউন্ট খুলে সেই ফ্রেন্ডদের গ্রুপে অ্যাড করতে থাকেন। একটা গ্রুপ থেকে আপনি কয়েক ভাবে আয় করতে পারেন।
নিছে কয়েকটি উপায় লেখা হলো।
১) আপনার নিজের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারেন । এটা অনেকেই করে থাকে। তবে এটা খুব লিমিটেড হয়ে যায়। এজন্য আপনি সবাই কে গ্রুপে সেল করার সুযোগ করে দিতে হবে। ফলে সবাই গ্রুপের বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠবে আর নতুন নতুন সদস্য যোগ করবে।
২) আপনার গ্রুপটি সাবস্ক্রিপশন-বেসড করতে পারেন । যেখানে শুধুমাত্র পেইদ কাস্টমার রা তাদের পণ্য শেয়ার করতে পারবে। তবে তার জন্য আপনার গ্রুপে অনেক বেশী সদস্য হতে হবে। কারণ অনেক গ্রুপই আছে যারা ফ্রিতে পণ্য বিক্রি করার সুযোগ দিয়ে থাকেন । যদি আপনার গ্রুপে ১ লাখের উপর সদস্য থাকে তবে সবাই টাকা খরচ করে বিজ্ঞাপন দিতে রাজি হবে।
৩। অনেকে একটা গ্রুপ দিয়েই একটা ই কমার্স সাইট পরিচালনা করে থাকেন। আপনিও চাইলে আপনার একটা গ্রুপ দিয়ে একটা ই কমার্স সাইট চালু করে দিতে পারেন। এছাড়া আপনি চাইলে একটা মাল্টি ভেন্ডর ওয়েবসাইট দিতে পারেন। ফলে অনেক সেলার এই গ্রুপে যুক্ত হবে আর আপনি ই কমার্স সাইট থেকে একটা কমিশন পেতে পারেন।
ফেসবুক ভিডিওঃ
ভিডিও মনিটাইজেশন এর মাধ্যমে আপনার পেইজে বিজ্ঞাপনের উপযুক্ত যেকোনো ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেওয়ার সুযোগ আপনি স্বয়ংক্রিয় ভাবেই পাবেন। ভিডিও মনিটাইজেশন অন থাকলে যে কোন ব্যাবহারকারী যখন আপনার পেইজের আপলোড করা ভিডিও দেখবে তখন ভিডিও মাঝে কিছু অ্যাড দেখবে, সেই অ্যাডে যদি কেউ ক্লিক করে বা দেখে তখন আপনাকে ফেসবুক কিছু টাকা দিবে, এইভাবেই আপনি ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন।
যেভাবে ফেসবুক পেইজ থেকে আয় করার উপযুক্ত হবেনঃ
আপনার ফেসবুক পেইজে সর্বনিম্ন ১০,০০০ (দশ হাজার) বা তার বেশি লাইক / ফলোয়ার থাকতে হবে। শেষ ২ মাসে (৬০ দিনে) আপনার পেইজে সর্বনিম্ন ৩০,০০০ (তিরিশ হাজার) মিনিট ভিডিও ভিউজ থাকতে হবে।প্রতিটি ভিউজ অবশ্যই মিনিমাম ১মিনিটের বেশী হতে হবে এবং সেই ভিডিওটি অবশ্যই ৩ মিনিটের বেশি লম্বা হতে হবে।
পেইজ মনিটাইজেশন করতে যা যা লাগবে তার বিস্তারিতঃ
আমরা সবাই জানি, ইউটিউব থেকে টাকা আয় করতে হলে তাদের কিছু র্শত মেনে কাজ করার পরেই তারা ইনকামের রাস্তা খুলে দেয়, ঠিক তেমনি ফেসবুক থেকে টাকা আয় করতে হলেও ফেসবুকের কিছু র্শত পূরণ করা বাঞ্ছনীয়। ফেসবুক পেইজ মনিটাইজেশন করার জন্য শর্তগুলো হচ্ছেঃ
১. প্রথম কথা, Facebook video monetization করার জন্য আপনার ফেসবুক পেইজে মিনিমাম ১০,০০০ (দশ হাজার) লাইক বা ফলোয়ার লাগবে।
২. বিষয়টি ভালো করে বুঝুন, ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনার ফেসবুক পেইজ লাগবে, কোন ফেসবুক প্রোফাইল বা ফেসবুক গ্রুপ দিয়ে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। শুধুমাত্র আপনার ফেসবুক পেইজ থেকে মনিটাইজেশন চালু করা যাবে।
৩. আপনি যেই পেইজটিতে মনিটাইজ অন করতে চান সেই পেইজে আপলোডকৃত ভিডিওগুলোর ডিউরেশন বা সময় মিনিমাম (সর্বনিম্ন) ৩ মিনিটের হতে হবে, ভিডিও যদি ৩ মিনিটের কম ডিউরেশনের হয় তাহলে তাতে মনিটাইজেশন চালু করা যাবে না।
৪. আপনার Facebook পেইজটিতে আপলোডকৃত সর্বনিম্ন ৩ মিনিটের সবগুলো ভিডিও মিলিয়ে সর্বশেষ ষাট দিনে (গত ২ মাসে) সর্বমোট ভিডিও ভিউ কমপক্ষে ৩০ হাজার হতে হবে।
৫. প্রত্যেকটি ভিডিও অবশ্যই ভিউয়ারকে কমপক্ষে ১ মিনিট করে দেখতে হবে। ভিডিওর ভিউ ১ মিনিটের কম হলে পেইজের মনিটাইজেশন অন হবে না।
৬. আপনার ফেসবুক পেইজটিতে কপি পেস্ট কোন ভিডিও পোস্ট করা থাকলে মনিটাইজেশন অন হবে না। তাই সবসময় ইউনিক কিছু চিন্তা করে নিজেই ভিডিও বানিয়ে আপলোড দিবেন কপি পেস্ট কোন ভিডিও গ্রহণযোগ্য নয়।
আপনার ফেসবুক পেইজে Video মনিটাইজ করার জন্য উপরের সকল র্শত গুলো অবশ্যই পূরণ করতে হবে।
যে ভাবে Video মনিটাইজেশন চালু করা যায়ঃ
১. ফেসবুক পেইজে ভিডিও মনিটাইজেশন চালু করার জন্য প্রথমে আপনাকে Facebook Creator -তে যেতে হবে।
২. তারপর যেই পেইজটিতে মনিটাইজেশন চালু করতে চান সেই পেইজটি সিলেক্ট করে নিন।
৩. এরপর Apply বাটনে ক্লিক করুন।
৪. তারপর Check Eligibility -তে ক্লিক করে আপনার পেইজটি মনিটাইজেশনের র্শত (Terms & Conditions) পূরণ করেছে কিনা দেখে নিতে পারবেন অথবা আপনি যে পেইজটিতে মনিটাইজেশন অন করতে চান সেই পেইজে গিয়ে Publishing Tools এ ক্লিক করে বাম পাশে Creator Studio তে ক্লিক করুন।
৫. আপনার পেইজটিতে যদি মনিটাইজেশন এর সকল র্শত পূরণ হয়ে থাকে তাহলে আপনার পেইজে মনিটাইজেশন Enable হয়ে যাবে।
কিভাবে আয় হয়ঃ
যে পেইজে মনিটাইজেশন অন হয় সেই পেইজে প্রকাশিত ৩ মিনিটের বেশি ডিউরেশনের ভিডিও গুলোতে Ad breaks মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেয়া হয়, আর এই এ্যাড ব্রেকস থেকে অর্জিত অর্থের একটি অংশ ভিডিও নির্মাতাদেরকে ফেসবুক প্রদান করে।
Ad breaks কিভাবে কাজ করবেঃ
আপনার পেইজে যদি Facebook মনিটাইজেশন এর দেয়া সকল র্শত পূরণ হয় তবে স্বয়ংক্রিয় ভাবেই আপনার ভিডিওতে এ্যাড ব্রেকসের বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হবে। এ জন্য আলাদা কোন কিছু করার প্রয়োজন হবে না।
মনিটাইজেশনের জন্য অযোগ্য ভিডিও কোন গুলোঃ
Facebook পেইজে আপলোড করা সব ভিডিও মনিটাইজেশন পাবেনা। এক্ষেত্রে ইউটিউবের মতো কিছু র্শত রয়েছে, নিচে উল্লেখযোগ্য কিছু সর্তের কথা দেয়া হলোঃ
১. ফেসবুক কোন স্লাইড শো বা অ্যানিমেটেড ভিডিও মনিটাইজেশন এর জন্য এপ্রুভ করবে না।
২. কয়েক সেকেন্ডের একটি ভিডিও বার বার (টেনে টেনে) ব্যবহার করলে অর্থাৎ একই ভিডিও জোড়াতালি লাগিয়ে তিন মিনিটের ভিডিও বানিয়ে পেইজে আপলোড করলে তাতে মনিটাইজেশন পাওয়া যাবে না।
৩. জাতিগত, ধর্মীয়, রাজনৈতিক ও সামাজিক ভায়োলেন্স তৈরি হয় / তৈরি করতে পারে এমন কোন ভিডিওতে মনিটাইজেশন পাবেন না। পাশাপাশি কোন ধরনের এডাল্ট ভিডিওতেও ফেসবুক কর্তৃপক্ষ মনিটাইজেশন দিবে না বলে জানিয়েছে।
৪. ভিডিওর সকল কন্টেন্ট অবশ্যই আপনার নিজস্ব হতে হবে, মানে ইউনিক হতে হবে।
টাকা উত্তোলনঃ
Facebook Video মনিটাইজেশন থেকে প্রাপ্ত টাকা আপনি চাইলে ইউটিউবের মতো ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার অ্যাকাউন্টে ১০০ (একশত) ডলার জমা হতে হবে। ১০০ (একশত) ডলার জমা না হলে টাকা উত্তোলন করা যাবে না, আপনার ব্যাংক একাউন্ট অ্যাড করার জন্য মনিটাইজেশন থেকে পেমেন্ট এ গিয়ে আপনার ব্যাংক একাউন্ট অ্যাড করে নিতে হবে। কিভাবে Facebook Video মনিটাইজেশন -এ ব্যাংক একাউন্ট এড করবেন তা নিয়ে পরবর্তীতে জানানোর চেষ্টা করব। আশা করি সাথেই থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল কি?
বর্তমানের আধুনিক জীবনযাত্রার অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ হচ্ছে ফেসবুক। ফেসবুক এখন শুধুই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম নয় বরং দেশ বিদেশের সকল সংবাদেরও মাধ্যম হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনের / প্রতিমুহূর্তের সকল খবর / খবরের শিরোনাম / বিভিন্ন নিউজের লিঙ্ক সহ হাজার হাজার খবর এখন ফেসবুকের নিত্য সঙ্গী। কোন একটি সংবাদ পড়ার জন্য যখন একটি লিংকে ক্লিক করা হয় তখন ফেসবুক থেকে বেরিয়ে চলে যেতে হয় সেই ক্লিক করা নির্দিষ্ট লিংকের ওয়েবসাইটে। কিন্তু লোডিং টাইম বেশি হওয়ায় সেই নিউজটি আসতে অনেক সময় নেয় এবং এক ধরনের বিরক্তি / তিক্ততা চলে আসে।
ব্যাবহারকারীর / পাঠকদের এই চিরা চরিত তিক্ত অভিজ্ঞতাটি বদলে দিতেই ফেসবুক নিয়ে এসেছে “ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল” নামে একটি জাদুকরি চমক, যার ফলে এখন যে কোন সংবাদের শিরোনাম / লিংকে শুধু একটা ক্লিক করলেই বিদ্যুৎ গতিতে ফেসবুকেই পেয়ে যাবেন সেই সংবাদটি। কোন ওয়েবসাইটের লিংক যখন ফেসবুকে ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল হিসেবে পোস্ট করা হয় তখন সেটি পড়ার জন্য ইউজারদের এমবি খরচ করে নতুন কোন ব্রাউজারে যেতে হবে না। ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল শুধুমাত্র স্মার্টফোন এ ফেসবুক ব্রাউজার দিয়ে দেখা যাবে, কিন্তু ফেসবুক লাইট দিয়ে দেখা যাবেনা।
বিশ্বের বড়বড় সকল সংবাদ মাধ্যম এরই মধ্যে ফেসবুকের ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল ফিচারটির সাথে যুক্ত হয়েছে। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, বাজফিড ছিল এই তালিকায় প্রথম। পরে অন্যান্য আরো নামিদামি সংবাদ মাধ্যমও ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলের সাথে সম্পৃক্ত হয়েছে। হাফিংটন পোস্ট, ওয়াশিংটন পোস্ট, দ্য ইনডিপেনডেন্ট, ইন্ডিয়া টুডের মত জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমও পাঠকদের খবর পড়ার অভিজ্ঞতাকে স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলের সাথে যুক্ত হয়েছে।
যেভাবে ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল এর যাত্রা শুরু হয়ঃ
২০১৫ সালের মার্চ মাসের দিকে নিউজ / খবরের লিংক শেয়ার এর জন্য হোস্টিং সেবা দিতে বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমকে কন্টেন্ট পোস্টের প্রস্তাব দেন মার্ক জাকারবার্গ। সেই সময়ে হাফিংটন পোস্ট, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, বাজফিড, নিউইয়র্ক টাইমস ও বিবিসি শুরুতেই ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলের মাধ্যমে সরাসরি তাদের কনটেন্ট পোস্টের সুযোগ পায়। তারপর ২০১৬ সালের ১২ই এপ্রিল আনুষ্ঠানিক ভাবে ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল -কে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। ফেসবুকের নতুন এই ফিচারটি মূলত মোবাইল ফোন থেকে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা বদলে দেওয়ার জন্যই করা হয়েছে।
খুব দ্রুততম সময়ে (ফেসবুক থেকে বলা হছে, বিদ্যুৎ গতিতে) একজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী তার পছন্দের খবরটি পড়তে পারবেফেসবুকে থেকেই। “ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল” নাম শুনেই বুঝতে পারছেন, এই ফিচারটির মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তাৎক্ষণিক পাঠ। কোন একটি নিউজ দেখলেন, পড়ার জন্য ক্লিক করলেন, ব্যস তাতেই কাজ যা হওয়ার হয়ে যাবে। সংবাদ বা কোন কন্টেন্ট লোড হওয়ার যে প্রতীক্ষা একটি ওয়েবসাইট লোড হতে সময় নিতো তা একেবারেই ভুলে যাবেন আপনি। ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল সংযুক্ত যেকোন নিউজ লিংকে ক্লিক করার সাথে সাথেই সেটি আপনার মোবাইলে চলে আসবে, কারণ এটি ১০ গুণ দ্রুত স্পীডে কাজ করে।
মূলত আসল কথা হচ্ছে, আপনি কোন একটি পোষ্টে ক্লিক করলে, সেই নিউজ/খবরটি চোখের নিমেষেই আপনার মোবাইলে এনে হাজির করবে, ঐ সাইটটিকে নয়। “ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল” ব্যবহারকারীরা হাই রেজল্যুশনে যেকোন ছবি জুম করে দেখতে পারবে, স্বয়ংক্রিয় ভাবে চলতে থাকা ভিডিওগুলিও দেখতে পারবে কোন বাধা ছাড়াই। যখন কেউ নিউজ পরবে / ভিডিও দেখবে, দেখে মনে হবেনা যে এটি ইন্টারনেট থেকে লোড হচ্ছে, বরং মনে হবে এটি একটি সেইভ করা ফাইল, এবং আপনি মাত্র একটি ক্লিক করার সাথে সাথেই ফাইলটি খুলে গেল।
আপনার পড়া কোন কন্টেন্ট “ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলের” সাথে সম্পৃক্ত কিনা, সেটি বোঝার খুব সহজ উপায় আছে। যেকোন শেয়ার করা লিংকের ডানপাশে একটি বিদ্যুতের মত (থান্ডারবোল্ট) চিহ্ন দেখলেই বুঝে নিবেন সেটি ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল।
ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল এর সুবিধা সমূহঃ
“ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল” খুব দ্রুত লোড হবে।
“ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল” -এ ব্রাউজার ক্যাশ থাকে তাই পরবর্তী আর্টিকেল নতুন করে লোড না হয়ে ক্যাশ থেকে লোড হয়।
“ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল” আপনার ফেসবুক পেজে আর্টিকেলের স্ট্যাটিকস দেখতে পারবেন।
“ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল” -এ মনিটাইজেশন অ্যাড দিয়ে আয় করা যায়।
ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল এর অসুবিধা সমূহঃ
ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের উইজেট এবং অনেক শর্টকোড কাজ করে না।
মেইন সাইটের ভিজিটর কমে যাবে, তবে সাইটের রাঙ্কিং কমবে না।
এপ্রুভ পেতে একটু কষ্টকর।
ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল এ কাজ করতে চাইলে যা যা প্রয়োজনঃ
আপনার ওয়েবসাইটের জন্য একটি ফেসবুক পেজ প্রয়োজন হবে।
আপনার সাইটে নিয়মিত কন্টেন্ট পোষ্ট / পাবলিশ করতে হবে।
পোষ্টের লিংক ফেসবুক পেইজে শেয়ার করতে হবে (**আপনার ফেসবুক থেকে ওয়েবসাইটের লিংকে মিনিমাম ৩০ হাজার লিংক ক্লিক থাকতে হবে)।
আপনার পেইজে মোটামুটি ৫০০/১০০০ লাইক থাকতে হবে (**বেশি থাকলে এপ্রুভ পেতে আরো সহজ হবে)।
আপনার সাইটটি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে করুন, এতে আপনার সুবিধা হবে।
ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল ফর ওয়ার্ডপ্রেস (Instant Articles for WP) প্লাগিন ইন্সটল করতে হবে।
আপনার নামে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন হবে।
যেভাবে ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল চালু করবেনঃ
ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল চালু করতে চাইলে মাত্র ৬টি ধাপ অতিক্রম করতে হবে।
১) প্রথমেই ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলের instantarticles.fb.com–এই লিংকে ক্লিক করে সাইনআপ করে নিন। (এখানে গেলেই প্রতিটি স্টেপ ফেসবুক আপনাকে দেখিয়ে দিবে।)
২) সাইনআপ করার পর পরবর্তী পেজে — আপনার পেজ নির্বাচন করতে হবে। (**আপনি যেই পেজ নির্বাচন করবেন সেটিতে ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল চালু হবে। (আপনি ফেসবুকের সকল শর্ত মেনে তার সাথে একমত আছেন, এই মর্মে বক্সে টিক মার্ক দিয়ে আপনার পেইজের “ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল” টুলস চালু করুন।)
৩) এবার “ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল” যেই পেইজটিতে চালু করলেই সেই পেজে যান। > Publishing Tools এ ক্লিক করুন, > ক্লিক করার পর দেখবেন বাম পাশে নিচের দিকে “ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল” নামে নতুন অপশন অ্যাড হয়েছে, > সেই অপশন থেকে কনফিগারেশন এ ক্লিক করুন।
৪) > এবার Connect Your Site -এ ক্লিক করুন, এরপর আপনার পেইজ আইডিটি কপি করে আপনার ওয়েবসাইটের <head> ওপেনিং এ বসিয়ে দিন। (এইটা না করলে হবে না)
৫) > URL -এ আপনার ওয়েবসাইটের লিংক দেয়ার পর Submit URL -এ ক্লিক করে আপনার ওয়েবসাইট সাবমিট করুন।
এখানে একটি বিষয় বলে রাখতে চাই, আপনার যদি ওয়ার্ডপ্রেসের ওয়েবসাইট হয়ে থাকে তবে আপনার ওয়েবসাইটে অবশ্যই ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল ফর ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন চালু করতে হবে তারপরই ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলের জন্য লিংক সাবমিট করতে হবে।
এইচটিএমএল ওয়েবসাইট হলে <head> ওপেনিং এ <meta property=“fb:pages” content=“XXXXXXXXXXX” /> বসিয়ে সেভ করে সোজা আপনার ওয়েবসাইটের লিংক বসিয়ে ক্লেইম করুন। ক্লেইম করতে না পারলে / কোন সমস্যা হলে আপনার ওয়েবসাইটের ডেভেলপারের সাথে যোগাযোগ করুন।
৬) আপনার ওয়েবসাইটের লিংক সঠিক ভাবে ক্লেইম হয়ে গেলে ফেসবুক অটোমেটিকলি আপনার ওয়েবসাইটে করা সব পোস্ট Production Articles -এ নিয়ে আসবে।
সেখান থেকে ভালো মানের (ইউনিক) ১০টি পোস্ট সিলেক্ট করে রিভিউয়ের জন্য দিন। সঠিকভাবে রিভিউয়ের জন্য সাবমিট করা হলে আপনাকে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা (সর্বচ্চো ৩০দিন) অপেক্ষা করতে হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে “ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল” প্রকাশ করার জন্য অনুমতি পেয়ে যাবেন ফেসবুক থেকে।
সাধারণত রিভিউ রেজাল্ট ২ / ৩ দিনের মধ্যে পাবেন। আপনার পোস্ট যদি ইউনিক হয় তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট ফেসবুক “ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল” হিসেবে চালু হবে। আপনার “ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল” একটিভ হয়ে গেলে ফেসবুক ডেভেলপার সাইটে গিয়ে ইনকাম কত হল তা দেখে নিতে পারবেন।
যে তথ্য গুলো জানা খুবই জরুরীঃ
“ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল” একটিভ হবার পর অবশ্যই ইউনিক কন্টেন্ট পোষ্ট দিতে হবে। আগে কপি পেস্ট কন্টেন্ট দিলেও ফেসবুক সেটা গ্রহণ করতো কিন্তু সম্প্রতি নতুন আপডেট আসার পর থেকে কপি পেস্ট কন্টেন্টের সাইট গুলোর “ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল” বাতিল করে দিচ্ছে ফেসবুক।
এই ফিচার থেকে আয় বাড়াতে চাইলে বিশেষত বড় (ইউরোপ) দেশ গুলোর প্রবাসী বাংলা ভাষা ভাষীদের টার্গেট করতে হবে। সেখান থেকে পাঠক ঢুকলে আয় বৃদ্ধি পাবে। অনেকেই মনে করেন “ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল” ওয়েবসাইটের ট্র্যাফিক কমিয়ে দেয়। কথা সত্য ফেসবুক সার্ভার থেকে ওয়েবসাইটে পাঠক ঢুকলে সরাসরি সাইটের পাঠক কমবে থিকই কিন্তু সাইটের হিট কমবে না। একই সাথে ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলের ফলে অ্যালেক্সা রাঙ্কিয়েও কোন ধরনের প্রভাব পরবে না। এজন্য অবশ্যই গুগল অ্যানালিটিকস কোড ফেসবুকের ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলে বসাতে হবে। তাহলেই গুগল অ্যানালিটিকে পাঠকের পরিসংখ্যান দেখাবে।
ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল থেকে কত টাকা আয় করা যায়?
আপনার অনলাইন সংবাদ মাধ্যমটি / ওয়েবসাইটের পোষ্ট গুলো কতটা পপুলার তার উপর ভিত্তি করে নির্ভর করবে আপনার আয় কত হবে। আপনার ওয়েবসাইটের ভাষা বাংলা নাকি ইংরেজি সেটি কোন বিষয়ই নয়। দেশ কিংবা বিদেশ যেখান থেকেই পাঠক পড়বে সেখান থেকেই আপনার আয় হবে এবং আপনার অ্যাকাউন্টে সেই ডলার যোগ হবে।
যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়ার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর মত বড় দেশ গুলোতে পাঠক থাকলে আপনার আয় অনেক বেশি হবে। বাংলাদেশ থেকে প্রতি মাসে লাখ লাখ ডলার আয় করে এমন ওয়েবসাইটও কিন্তু রয়েছে।
বিজ্ঞাপন কিভাবে আসবে?
ফেসবুক আপনার ওয়েবসাইট থেকে ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলের পোষ্ট নিয়ে ফেসবুক পেজের পোস্টের সাথে বিজ্ঞাপন দিবে এবং সেই বিজ্ঞাপনের জন্যই মূলত ফেসবুক আপনাকে ডলার / টাকা দেবে। আরেকটি বিষয়ঃ আপনার ওয়েবসাইটে যদি গুগলের অ্যাডসেন্সও যুক্ত করা থাকে তবে তা ফেসবুকের ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল এর উপর কোন ধরনের প্রভাব ফেলবে না।
কিভাবে টাকা আসবে?
টাকাটা সরাসরি আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে। অথবা আপনার ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল যদি কোন এজেন্সির সাথে লিংক করা থেকে তাহলে তারা নিজ দায়িত্বে আপনাকে চেক বা ক্যাশে পেমেন্ট করবে।
মিনিমাম ১০০ ডলার হলে ফেসবুক আপনাকে পেমেন্ট দিবে। আর যদি ডলার ১০ হাজারের বেশি হয় তখন, অবশ্যই আপনাকে ব্যাংকে গিয়ে সি-ফর্ম পূরণ করে সাথে ফেসবুক থেকে পাঠানো ইনভয়েস সংযুক্ত করে জমা দিতে হবে। এরপর যথা সময়েই টাকা আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চলে আসবে।
কিভাবে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার যুক্ত করবেন?
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করার জন্য আপনার পেজের ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল অপশন থেকে Monetization / Audience Network এ যান, এরপর Your Dashboard -এ ক্লিক করুন, এবার Payouts -এ ক্লিক করুন, Add Payment Account – এ ক্লিক করে আপনার বিস্তারিত তথ্য দিন, বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার পর Continue তে ক্লিক করুন। এবার Payment Information এ আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বারটি দিয়ে সেভ দিন, ব্যাস আপনার কাজ শেষ।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম বর্তমানে ফেসবুক অন্যতম। যত দিন যাচ্ছে ততই ফেসবুকের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষ বিভিন্ন কারণে ফেসবুক ব্যবহার করে থাকে। কেউ বিনোদনের জন্য এবং জনপ্রিয়তার জন্য ব্যবহার করে। আবার কেউ টাকা আয় করার জন্য ব্যবহার করে। তাই আজ আমি ফেসবুক থেকে টাকা আয় করার নিয়ম সম্পর্কে লিখলাম।
বাংলাদেশ সহ সারাবিশ্বের অনেক লোকজন, ফেসবুকের মাধ্যমে টাকা আয় করে। অনেকে ফেসবুক ব্যবহার করে, কিন্তু তারা জানে না কিভাবে টাকা আয় করা যায়। তাই প্রতি দিন অনেক লোক আামকে জিজ্ঞেস করে থাকে। ফেসবুক থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়।
ফেসবুক ইভেন্টঃ
ফেসবুক থেকে আয় করার উপায় গুলির মধ্যে আর একটি পরিচিত পদ্ধতি হল ফেসবুক ইভেন্ট। বিভিন্ন বিষয়ে ওয়ার্কশপ, লাইভ অনুষ্ঠান বা আলোচনা-র আয়োজন করুন ফেসবুক ইভেন্ট হিসেবে। তার সাবস্ক্রিপশন বা ফি হিসেবে টাকা আয় করার সুযোগ থাকবে।
ফেসবুক জবসঃ
আপনার এলাকায় বিভিন্ন চাকরি বা কাজের সন্ধান থাকে ফেসবুক জবস বিভাগে। ফেসবুক নতুন করে এই ফিচারটি যোগ করেছে। আপনি যদি পেশায় একজন ফ্রিলান্সার হন, তা হলে জবস সেকশনে থাকা বিভিন্ন ফ্রিলান্স প্রোজেক্টে অংশ নিয়ে উপার্জন চালিয়ে যেতে পারেন। তবে এখনো এই বিষয়টি তেমন ভালো করে গড়ে উঠেনি ফেসবুকে ফলে সেই লেভেলের চাকরি দাতারা এখনো ফেসবুকে চাকরি বিজ্ঞাপন দেয় না।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারঃ
ফেসবুক করা নেশা হয়ে গিয়েছে? ফেসবুকের যাবতীয় খুঁটিনাটি, তথ্য, প্রযুক্তিগত সুবিধা সবই আপনার নখদর্পণে। সেটাকেই কাজে লাগিয়ে এ বার ফেসবুক থেকে টাকা আয় করুন ডিজিটাল মার্কেটিং ক্ষেত্রে। আপনাকে এজন্য এই বিষয়ে প্রচুর জ্ঞান আহরণ করতে হবে। আপনি গ্রাপিক্স ডিজাইন শিখতে পারেন। অল্প বিস্তর এইস টি এম এল শিখে নিতে পারেন। ভিডিও সম্পাদনা শিখতে পারেন। সব বিষয় শিখে আপনি শুরু করতে পারেন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসাবে। অনেক কোম্পানি অনলাইনে কাজ করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার নিয়োগ দিয়ে থাকেন। অনলাইনে সিভি দিয়ে কাজ নিতে পারবেন খুব সহজেই।
ভুল ধরুন ফেসবুকেরঃ
যদিও এই কাজ খুব কঠিন, তবে এই কাজ করে ফেসবুক থেকে আয় করতে হলে আপনাকে প্রোগ্রামিং জানতে হবে অনেক ভালো ভাবে। অনেক ডেভলপার আছেন যারা এসব কাজ করে ফেসবুক থেকে আয় করে থাকেন। ফেসবুকের প্রযুক্তিগত ত্রুটি, বাগ বা ভাইরাস খুঁজে দিতে পারলে স্বয়ং ফেসবুক কর্তৃপক্ষই পুরস্কার দেন। কে বলতে পারে, আপনার ভাগ্যেই হয়তো শিকে ছিঁড়ল ! তবে এ কাজ করতে আপনাকে অনেক দক্ষ হতে হবে। কারন ফেসবুকেও কিন্তু অনেক বড় বড় ডেভলপার আছে। আপনার নির্ণয় করা ভুলটি খুব সূক্ষ্ম হতে হবে।
ফেসবুক থেকে আয় করার আরেকটি উপায়া ছে সেটি হলো পরোক্ষ ভাবে আয় করা। নিছে কিছু পরোক্ষ ভাবে ফেসবুক থেকে আয় করার ট্রিক্স দেয়া হলো । আসা করি ফেসবুক থেকে আয় করতে এসব আপানদের কাজে আসবে।
লিমিটেড টাইম চ্যালেঞ্জঃ
নতুন ব্যবসায় ক্রেতা টানতে বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতা অথবা বিনামূল্যে পণ্য বা সেবা দেয়ার ব্যবস্থা করা আজকাল ব্যবাসা প্রচারের একটা প্রচলিত নিয়ম। ফেসবুক থেকে আয়ের ক্ষেত্রে এটিও হতে পারে আপনার জন্য একটি বিরাট সুযোগ। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা বা বিনামূল্যে পণ্য বা সেবা জেতার সুযোগএ অংশ নিতে চান অনেকেই। এর মাধ্যমেই বিক্রেতা তার সেই পণ্য বা সেবাটি সম্পর্কে ক্রেতাকে আকৃষ্ট করে তাকে নিয়মিত ক্রেতায় পরিণত করে ফেলেন। বিভিন্ন কোম্পানি আজকাল এসব বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন। যেমন ৫০% ক্যাশ ব্যাক, আবার ১০০% ক্যাশ ব্যাক অফার।
মিম থেকেও আয়ঃ
মিম হলো কোন ছবিকে মানুষের জন্য মজাদার করে ফেসবুকে শেয়ার কয়ার। ফেসবুকের এসব পোস্ট করা মজাদার মিমকে টিশার্ট বা কফি মাগের ডিজাইন হিসেবে পোস্ট করতে পারেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। যেমন টিস্পিং একটি ওয়েবসাইট। এখানে আপনি আপানর ডিজাইন গুলি দিতে পারেন। যদি উপজুক্ত হয় তবে আপানার ডিজাইন বিক্রির আয় থেকে আপনিও পাবেন একটা অংশ ।
বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি।
ফেসবুক থেকে আয় করার এটা একটা ভালো উপায়। আপনি যদি ফেসবুকে বেশ পরিচিত হন তবে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি করেও আয় করতে পারেন। নিজের কোনও কিছু, সে লেখালেখি হোক বা অন্য অ্যাক্টিভিটি- যেমন ভিডিও যেটা পোস্ট করলেই দেদারসে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার হয় । ফেসবুকে আপানর ফ্যানের সংখ্যা ১০০০০০ এর বেশি, ভিডিওতে পোস্ট এনগেজমেন্ট অন্তত ১৫,০০০। তৈরি থাকুন, যে কোন সময় আপনাকে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের পণ্য প্রমোট করার জন্য ডাকতে পারে।